ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় এক চিকিৎসককে ধর্ষণের পর নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শনিবার কর্মবিরতি পালন করে চিকিৎসকরা। এতে বিভিন্ন হাসপাতলে চরম ভোগান্তির শিকার হয় রোগীরা।
চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-আইএমএ এর ডাকে দেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালেই জরুরি পরিষেবা বাদে বাকি সব পরিষেবা বন্ধ ছিল সেদিন। তবে জরুরি পরিষেবায় কোথাও ব্যাঘাত ঘটেনি বলে দাবি চিকিৎসকদের।
এই হত্যার প্রতিবাদে এবং দেশ জুড়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিক চিঠি পাঠিয়েছে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-আইএমএ। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঁচটি দাবি রেখেছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে চিকিৎসকদের এই শীর্ষ সংগঠন আইএমএ। চিঠিতে মোদীর উদ্দেশে বলা হয়েছে, আমরা ঘটনার এই পর্যায়ে সরাসরি আপনার হস্তক্ষেপ দাবি করছি। তা শুধু মহিলা চিকিৎসকদের নয়, সমস্ত কর্মরত মহিলাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। প্রত্যেক মহিলার নিরাপত্তার অধিকার আছে বলে জানিয়েছে তারা।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় একটি কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ করার দাবিও জানিয়েছে আইএমএ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠিতে আরজি কর-কাণ্ডের প্রকৃত, স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছে চিকিৎসক সংগঠনটি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি, দেশের সমস্ত হাসপাতালকে ‘সেফ জোন’ হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। বিমানবন্দরের চেয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা যেনও কোনও অংশে কম না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া, আরজি কর-কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ারও দাবি জানিয়েছে আইএমএ।